SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা - সামরিক শাসন ও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ (১৯৭৫-১৯৯০) | NCTB BOOK

অভ্যুদয়লগ্নে বাংলাদেশ ছিল একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত উন্নয়নশীল দেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অদম্য মনোবল, অসীম সাহসিকতা, আন্তরিকতা ও ভালোবাসা নিয়ে তিনি দেশ পুনর্গঠণ শুরু করেন। ৭৫-এর ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার মাধ্যমে এদেশের অগ্রযাত্রাকে রুখে দেয়া হয়। এরপর চলে দীর্ঘদিনের সামরিক ও স্বৈরতান্ত্রিক শাসন। দীর্ঘ একুশ বছর পর মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় এসে আবারও দেশকে বিশ্বের দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে বদ্ধপরিকর হয়। এক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেন জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বের ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। বিশ্বশান্তির অগ্রদূত শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করতে তাঁর সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছেন। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৮টি লক্ষ্যের মধ্যে শিক্ষা, শিশু মৃত্যুহার কমানো এবং দারিদ্র্য হ্রাসকরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছে। নোবেল বিজয়ী ভারতীয় অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের করা মন্তব্য এক্ষেত্রে প্রণিধানযোগ্য। তাঁর মতে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশ্বকে চমকে দেবার মতো সাফল্য আছে বাংলাদেশের। বিশেষত শিক্ষা সুবিধা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাতৃ ও শিশু জন্মহার ও মৃত্যুহার কমানো, দরিদ্রমানুষের জন্য শৌচাগার ও স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান এবং শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম অন্যতম ।

 

অর্থনৈতিক উন্নয়ন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ফলে দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা, এমডিজি অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়নসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গসমতা, কৃষি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন, দারিদ্র্যসীমা হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, রপ্তানিমুখী শিল্পায়ন, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, পোশাক শিল্প, ঔষধ শিল্প, রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয় বৃদ্ধিসহ নানা অর্থনৈতিক সূচক। প্রতিটি ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়। এ ছাড়াও পদ্মাসেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকা মেট্রোরেলসহ দেশের মেগা প্রকল্পসমূহের মাধ্যমে অভূতপূর্ব উন্নয়নকে গতিশীল রাখা হয়েছে। একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশগঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদাত্ত আহ্বান, 'আসুন দলমত নির্বিশেষে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।

 

খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন: বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে বিশেষত দরিদ্র মানুষের খাদ্যপ্রাপ্তি ও পুষ্টির জন্য প্রণীত হয় ‘খাদ্য নীতি-২০০৬'। সামাজিক সুরক্ষামূলক কর্মসূচির আওতায় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ও দুঃস্থ ভাতা, পঙ্গু, প্রতিবন্ধী ও অসহায়দের জন্য ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী, ভর্তুকি মূল্যে খোলা বাজারে খাদ্য পণ্য বিক্রি, ভিজিডি, ভিজিএফ, টেস্ট রিলিফ, কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির আওতায় খাদ্য সহায়তা, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ইত্যাদি কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে।

 

শিক্ষায় অবদান: শিক্ষার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে সরকার শতভাগ ছাত্র-ছাত্রীকে বিনামূল্যে বই বিতরণ করছে। ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে নতুন করে জাতীয়করণ করেছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করা হয়েছে। ১৯৯০ সালে বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিশুর শতকরা হার ছিল ৬১। বর্তমানে তা উন্নীত হয়েছে শতকরা ৯৭.৭০ ভাগে। শিক্ষার সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষে “শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১২' প্রণয়ন করা হয়েছে, গঠন করা হয়েছে শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট” ।

 

স্বাস্থ্য সুরক্ষা: স্বাস্থ্যখাতকে যুগোপযোগী করতে প্রণয়ন করা হয়েছে ‘জাতীয় স্বাস্থ্য নীতিমালা-২০১১'। তৃণমূল পর্যায়ের দরিদ্র মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গড়ে তোলা হয়েছে ১২ হাজার ৭৭৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক। মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার এবং জন্মহার হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবার লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে নতুন ১২টি মেডিকেল কলেজ । শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যের জন্য বাংলাদেশ বিশ্বে অন্যতম আদর্শ দেশ ।

 

নারীর ক্ষমতায়ন: নারীর সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে 'জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা-২০১১'। নারী শিক্ষাকে উৎসাহিত করতে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত চালু করা হয়েছে উপবৃত্তি কার্যক্রম। সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীর অংশগ্রহণকে নিশ্চিত করতে গৃহীত হয়েছে নানামুখী পদক্ষেপ।

 

‘জাতীয় শিশু নীতি ২০১১' প্রণয়ন: “জাতীয় শিশু নীতি ২০১১' এর মাধ্যমে সুরক্ষিত করা হয়েছে শিশুদের সার্বিক অধিকারকে। দুঃস্থ, এতিম, অসহায় পথ-শিশুদের সার্বিক বিকাশের জন্য স্থাপন করা হয়েছে ১৫টি শিশু বিকাশ কেন্দ্র। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের নারী ও শিশুর উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভূষিত করা হয়েছে জাতিসংঘের সাউথ-সাউথ এওয়ার্ডে ।

 

ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন: ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবতায় রূপ দিতে এবং তৃণমূল পর্যায়ে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি সেবা পৌঁছে দেবার অভিপ্রায়ে দেশের ৪৫৫৪ টি ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপন করা হয়েছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার'। তৈরি করা হয়েছে বিশ্বের অন্যতম বিশাল ন্যাশনাল ওয়েব পোর্টাল। কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত এ পোর্টালের সংখ্যা প্রায় ২৫০০০। দেশের সবক'টি উপজেলাকে আনা হয়েছে ইন্টারনেটের আওতায় । বর্তমান সময়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর সবচেয়ে সুবিধাভোগী গ্রুপ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ক্লাস, পরীক্ষা, শিক্ষা উপকরণ ছাড়াও পারস্পরিক যোগাযোগ, ডিজিটাল পরিবহন সুবিধা, সরকারি বেসরকারি ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রমে অনলাইন সুবিধা, সেমিনার, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সভা-সমিতি, অর্থাৎ যাপিত জীবনের সবকিছু অনলাইনে সম্পাদন করার বিষয়টি এখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে ।

 

কৃষিতে অনন্য অবদান: কৃষিখাতে অভূতপূর্ব কিছু সাফল্যের জন্য বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ বারবার আলোচিত হয়েছে। প্রায় ১৬ কোটি জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশ বর্তমানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন। প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলম আবিষ্কার করেছেন পাটের জিনোম সিকুয়েন্সিং।

 

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন: বর্তমানে বিশ্বের ১৫৭টি দেশে বাংলাদেশের ৮৬ লক্ষেরও অধিক শ্রমিক কর্মরত আছে। বিদেশে শ্রমিক প্রেরণ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ স্থাপন করেছে অনন্য দৃষ্টান্ত। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তি মিশনে যোগদানের পর খ্যাতি ও সফলতার সাথে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এ যাবৎকালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী ১১৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সর্বাগ্রে।

 

রপ্তানি শিল্পে অবদান: বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের পাশাপাশি আবাসন, জাহাজ, ঔষুধ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ খাদ্য শিল্পের প্রসার ঘটেছে; রপ্তানি পণ্যের তালিকায় যোগ হয়েছে জাহাজ, ঔষুধ এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রী। বাংলাদেশের আইটি (IT) শিল্প বহির্বিশ্বে অভূতপূর্ব সুনাম কুঁড়িয়েছে ।

 

মানবিক রাষ্ট্রে উত্তরণ: বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এখন শুধু উন্নয়নের রোল মডেলই নয়, একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবেও প্রশংসিত। কথিত তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ আজ ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেবার পাশাপাশি খাদ্য, বস্ত্র, , চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এ সবকিছুই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী, দৃঢ়চেতা, সাহসী ও মানবিক নেতৃত্বের কারণে ।

 

আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন: দেশ আর্থ-সামাজিক সূচকসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রত্যাশাজনক সাফল্য অর্জন করেছে। এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ এখন মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের কাজ অব্যাহতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে নিজস্ব অর্থে পদ্মা নদীর ওপর ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করার সাহস ও সক্ষমতা দেখিয়েছে বাংলাদেশ ।

 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: ২০৪১ সালে উন্নত দেশে উন্নীত হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগও চলমান। মহাকাশ জয়ের লক্ষে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১' মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় অভিযোজন কর্মসূচি বাস্তবায়নে উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থায়নে বাংলাদেশ 'ক্লাইমেট চেঞ্জ রেজিলিয়েন্স ফান্ড' গঠন করা হয়েছে।

 

বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব নীতি: যুদ্ধ-সংঘাত বা বৈরিতা ছাড়াই দুই প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারের বিপক্ষে সমুদ্র-বিজয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে স্থলসীমান্ত চুক্তি হয়েছিল সম্প্রতি তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছিটমহল সমস্যার সমাধান করা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি বড় অর্জন।

 

 

বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রা: সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রায়ও বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই। আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন আজ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। আশা করা যায় অদূর ভবিষ্যতে বাংলা ভাষা জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষায় পরিণত হবে। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি যে বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জন্য এ দেশের ছাত্র ও সাধারণ মানুষ রক্ত দিয়েছিল, আজ সে দিনটি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত। এটি আমাদের দেশ ও জনগণের জন্য বড় অর্জন । বাংলাদেশের বাংলা বর্ষবরণ উদযাপনে যে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয় তা ‘ইনট্যানজিবল হেরিটেজ' হিসেবে ইউনেস্কোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পেয়েছে। ফলে আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ সবই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের কারণে।

 

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি:  পিপলস অ্যাণ্ড পলিটিকস, বিশ্বের পাঁচজন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানকে চিহ্নিত করেছেন, যাদের দুর্নীতি স্পর্শ করেনি, বিদেশে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই, উল্লেখ করার মতো কোনো সম্পদও নেই। বিশ্বের সবচেয়ে সৎ এই পাঁচজন সরকার প্রধানের তালিকায় আছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে কল্যাণমুখি অবদানের জন্য তাঁকে নানা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। সরকার পরিচালনা ও নেতৃত্ব প্রদান, জনগণের জন্য গৃহীত বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের স্বার্থরক্ষায় শেখ হাসিনা একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক। আর তাই মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক খালিজ টাইমস, রোহিঙ্গাদের সংকট মোকাবিলায় শেখ হাসিনার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য তাঁকে ‘নিউ স্টার অব দ্য ইস্ট' বা ‘পূর্বের নতুন তারকা' হিসেবে আখ্যায়িত করে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে বাঙালির জীবন-যাত্রার মানোন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর করতে শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

Content added By